Home
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬ -
১৮৮৬)
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণলীলাপ্রসঙ্গ
স্বামী সারদানন্দ প্রণীত
ভূমিকা
ঠাকুরের
বাটীর নক্সা
প্রথম খণ্ড — পূর্বকথা ও বাল্যজীবন
দ্বিতীয় খণ্ড — সাধকভাব
তৃতীয় খণ্ড — গুরুভাব (পূর্বার্ধ)
১
ঠাকুর, 'গুরু' 'বাবা' বা 'কর্তা' বলিয়া সম্বোধিত হইলে বিরক্ত হইতেন। তবে
গুরুভাব তাঁহাতে কিরূপে সম্ভবে
২
সর্বভূতে নারায়ণ-বুদ্ধি স্থির থাকায় ঠাকুরের দাসভাব সাধারণ
৩
কিন্তু দিব্য-ভাবাবেশে তাঁহাতে গুরুভাবের লীলা নিত্য দেখা যাইত। ঠাকুরের
তখনকার ব্যবহারে ভক্তদিগের কি মনে হইত
৪
ভাবময় ঠাকুরের ভাবের ইতি নাই
৫
সাধারণের বিশ্বাস ঠাকুর ভক্ত ছিলেন, জ্ঞানী ছিলেন না। 'ভাবমুখে থাকা' কখন
ও কিরূপে সম্ভবে বুঝিলে ঐকথা আর বলা চলে না
৬
'আমি'-বোধাশ্রয়ে মানসিক বৃত্তিসমূহের উদয়। উহার আংশিক লোপে সবিকল্প ও
পূর্ণ লোপে নির্বিকল্প সমাধি হয়। সমাধি, মূর্চ্ছা ও সুষুপ্তির প্রভেদ
৭
সমাধি ফল — জ্ঞান ও আনন্দের বৃদ্ধি এবং ভগবদ্দর্শন
৮
'আমি'-বোধের সম্পূর্ণ লোপে ঐ কালে তাঁহার শরীর রহিল কিরূপে
৯
জনৈক যোগী-সাধুর আগমন ও ঠাকুরের অবস্থা বুঝিয়া তাঁহাকে নিত্য জোর করিয়া
আহার করাইয়া দেওয়া
১০
শ্রীশ্রীজগদম্বার আদেশ — 'ভাবমুখে থাক্'
১১
একমেবাদ্বিতীয়ং-বস্তুতে নির্গুণ ও সগুণভাবে স্বগত-ভেদ এবং জগদ্ব্যাপী
বিরাট আমিত্ব বর্তমান। ঐ বিরাট আমিত্বই ঈশ্বর বা শ্রীশ্রীজগদম্বার আমিত্ব;
এবং উহার দ্বারাই জগদ্ব্যাপার নিষ্পন্ন হয়
১৩
পূর্ণ নির্বিকল্প এবং ঈষৎ সবিকল্প বা 'ভাবমুখ' অবস্থায় ঠাকুরের অনুভব ও
দর্শন
১৪
'ভাবমুখে থাক্' — কথার অর্থ
১৫
সাধকের আধ্যাত্মিক উন্নতিতে দ্বৈত, বিশিষ্টাদ্বৈত ও অদ্বৈত-ভাব পর পর
আসিয়া উপস্থিত হয়
১৬
মহাজ্ঞানী হনুমানের ঐ বিষয়ক কথা
১৭
অদ্বৈতভাব চিন্তা, কল্পনা ও বাক্যাতীত; যতক্ষণ বলা কহা আছে ততক্ষণ নিত্য ও
লীলা, ঈশ্বরের উভয় ভাব লইয়া থাকিতেই হইবে
১৮
ঐ বিষয়ে ঠাকুরের কয়েকটি দৃষ্টান্ত। যথা — গানের অনুলোম-বিলোম; বেল, থোড়,
প্যাঁজের খোলা
১৯
ভাবমুখ — নির্গুণ হইতে কয়েকপদ নিম্নে অবস্থিত থাকিলেও ঐ অবস্থায় অদ্বৈত
বস্তুর বিশেষ অনুভব থাকে। ঐ অবস্থায় কিরূপ অনুভব হয়। ঠাকুরের দৃষ্টান্ত
২০
বিদ্যা-মায়ার রাজ্যে আরও নিম্নস্তরে নামিলে তবে ঈশ্বরের দাস, ভক্ত, সন্তান
বা অংশ-'আমি' — এইরূপ অনুভব হয়
২১
ঠাকুরের 'কাঁচা আমি'টার এককালে নাশ হইয়া বিরাট 'পাকা আমিত্বে' অনেক কাল
অবস্থিতি। ঐ অবস্থাতেই তাঁহাতে গুরুভাব প্রকাশ পাইত। অতএব দীনভাব ও
গুরুভাব অবস্থানুসারে এক ব্যক্তিতে আসা অসম্ভব নহে
২২
গুরুভাবে ঠাকুরের ইচ্ছা ও স্পর্শমাত্রে অপরে ধর্মশক্তি জাগ্রত করিয়া দিবার
দৃষ্টান্ত — ১৮৮৬ খৃষ্টাব্দ ১লা জানুয়ারির ঘটনা
২৩
ঠাকুরের ঐরূপ স্পর্শে ভক্তদিগের প্রত্যেকের দর্শন ও অনুভব
২৪
কখন কাহাকে কৃপায় ঠাকুর ঐ ভাবে স্পর্শ করিবেন তাহা বুঝা যাইত না
২৫
'কাঁচা আমি'টার লোপ বা নাশেই গুরুভাব-প্রকাশের কথা সকল ধর্মশাস্ত্রে আছে
২৬
গুরুভাব মানবীয় ভাব নহে — সাক্ষাৎ জগদম্বার ভাব, মানবের শরীর ও মনকে
যন্ত্র-স্বরূপে অবলম্বন করিয়া প্রকাশিত
২৭
ঈশ্বর করুণায় ঐ ভাবাবলম্বনে মানব-মনের অজ্ঞান-মোহ দূর করেন। সেজন্য
গুরুভক্তি ও ঈশ্বরভক্তি একই কথা
২৮
গুরুভক্তি-বিষয়ে ঠাকুরের উপদেশ — বিভীষণের গুরুভক্তির কথা
২৯
ঠিক ঠিক ভক্তিতে অতি তুচ্ছ বিষয়েও ঈশ্বরের উদ্দীপন হয়। 'এই মাটিতে খোল
হয়!' — বলিয়াই শ্রীচৈতন্যের ভাব
৩০
অর্জুনের গুরুভক্তির কথা
৩১
ঈশ্বরীয় ভাবরূপে গুরু এক। তথাপি নিজ গুরুতে ভক্তি, বিশ্বাস ও নিষ্ঠা চাই।
ঐ বিষয়ে হনুমানের কথা
৩২
সকল মানবেই গুরুভাব সুপ্তভাবে বিদ্যমান
৩৩
ঠাকুরের কথা "শেষে মনই গুরু হয়"
৩৪
"গুরু যেন সখী"
৩৫
"গুরু শেষে ইষ্টে লয় হন; গুরু, কৃষ্ণ, বৈষ্ণব — তিনে এক, একে তিন"
চতুর্থ খণ্ড — গুরুভাব (উত্তরার্ধ)
১
বেদে ব্রহ্মজ্ঞ পুরুষকে সর্বজ্ঞ বলায় আমাদের না বুঝিয়া বাদানুবাদ
২
ঠাকুর উহা কি ভাবে সত্য বলিয়া বুঝাইতেন; "ভাতের হাঁড়ির একটি ভাত টিপে
বুঝা, সিদ্ধ হয়েছে কি না"
৩
কোন বিষয়ের উৎপত্তির কারণ হইতে লয় অবধি জানাই তদ্বিষয়ের সর্বজ্ঞতা;
ঈশ্বর-লাভে জগৎ-সম্বন্ধেও তদ্রূপ হয়
৪
ব্রহ্মজ্ঞ পুরুষ সিদ্ধসঙ্কল্প হন, একথাও সত্য। ঐকথার অর্থ। ঠাকুরের জীবন
দেখিয়া ঐ সম্বন্ধে কি বুঝা যায়। "হাড়মাসের খাঁচায় মন আনতে পারলুম না!"
৫
ঐ বিষয় বুঝিতে ঠাকুরের জীবন হইতে আর একটি ঘটনার উল্লেখ। "মন উঁচু বিষয়ে
রয়েচে, নীচে নামাতে পারলুম না"
৬
ঠাকুরের দুই দিক দিয়া দুই প্রকারের সকল বস্তু ও বিষয় দেখা
৭
অদ্বৈত ভাবভূমি ও সাধারণ ভাবভূমি — ১মটি হইতে ইন্দ্রিয়াতীত দর্শন; ২য়টি
হইতে ইন্দ্রিয় দ্বারা দর্শন
৮
সাধারণ মানব ২য় প্রকারেই সকল বিষয় দেখে
৯
ঠাকুরের দুই প্রকার দৃষ্টির দৃষ্টান্ত
১০
ঐ সম্বন্ধে ঠাকুরের নিজের কথা ও দর্শন — "ভিন্ন ভিন্ন খোলগুলোর ভেতর থেকে
মা উঁকি মারচে! রমণী বেশ্যাও মা হয়েছে!"
১১
ঠাকুরের ইন্দ্রিয়, মন ও বুদ্ধির সাধারণাপেক্ষা তীক্ষ্ণতা। উহার কারণ —
ভোগসুখে অনাসক্তি। আসক্ত ও অনাসক্ত মনের কার্যতুলনা
১২
ঠাকুরের মনের তীক্ষ্ণতার দৃষ্টান্ত
১৩
সাংখ্য-দর্শন সহজে বুঝান — "বে-বাড়ির কর্তা-গিন্নী"
১৪
ব্রহ্ম ও মায়া এক বুঝান — "সাপ চলছে ও সাপ স্থির"
১৫
ঈশ্বর মায়াবদ্ধ নন — "সাপের মুখে বিষ থাকে, কিন্তু সাপ মরে না"
১৬
ঠাকুরের প্রকৃতিগত অসাধারণ পরিবর্তনসকল দেখিতে পাইয়া ধারণা — ঈশ্বর আইন বা
নিয়ম বদলাইয়া থাকেন
১৭
বজ্রনিবারক দণ্ডের কথায় ঠাকুরের নিজ দর্শন বলা — 'তেতলা বাড়ির কোলে
কুঁড়েঘর, তাইতে বাজ পড়লো'
১৮
রক্তজবার গাছে শ্বেতজবা-দর্শন
১৯
প্রকৃতিগত অসাধারণ দৃষ্টান্তগুলি হইতেই ঠাকুরের ধারণা — জগৎ-সংসারটা
জগদম্বার লীলাবিলাস
২০
ঠাকুরের উচ্চ ভাবভূমি হইতে স্থানবিশেষে প্রকাশিত ভাবের জমাটের পরিমাণ বুঝা
২১
চৈতন্যদেবের বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণের লীলাভূমিসকল আবিষ্কার করা বিষয়ের
প্রসিদ্ধি
২২
ঠাকুরের জীবনে ঐরূপ ঘটনা — বন-বিষ্ণুপুরে ৺মৃন্ময়ী দেবীর পূর্বমূর্তি ভাবে
দর্শন
২৩
বিষ্ণুপুর শহরের অবস্থা
২৪
৺মদনমোহন
২৫
৺মৃন্ময়ী
২৬
ঠাকুরের ঐরূপে ব্যক্তিগত ভাব ও উদ্দেশ্য ধরিবার ক্ষমতা — ১ম দৃষ্টান্ত
২৭
ঐ বিষয়ে ২য় দৃষ্টান্ত — স্বামী বিবেকানন্দ ও তাঁহার দক্ষিণেশ্বরাগত
সহপাঠিগণ
২৮
'চেষ্টা করলেই যার যা ইচ্ছা হ'তে পারে না'
২৯
৩য় দৃষ্টান্ত — পণ্ডিত শশধরকে দেখিতে যাইয়া ঠাকুরের জলপান করা
৩০
ঠাকুরের মানসিক গঠন কি ভাবের ছিল এবং কোন্ বিষয়টির দ্বারা তিনি সকল বস্তু
ও ব্যক্তিকে পরিমাপ করিয়া তাহাদের মূল্য বুঝিতেন
৩১
অদ্বৈতভাব লাভ করাই মানবজীবনের উদ্দেশ্য। ঐ ভাবে 'সব শেয়ালের এক রা।'
শ্রীচৈতন্যের ভক্তি বাহিরের দাঁত ও অদ্বৈতজ্ঞান ভিতরের দাঁত ছিল।
অদ্বৈতজ্ঞানের তারতম্য লইয়াই ঠাকুর ব্যক্তি ও সমাজে উচ্চাবচ অবস্থা স্থির
করিতেন
৩২
স্বসংবেদ্য ও পরসংবেদ্য দর্শন
৩৩
বস্তু ও ব্যক্তিসকলের অবস্থা সম্বন্ধে স্থির সিদ্ধান্তে না আসিয়া ঠাকুরের
মন নিশ্চিন্ত থাকিতে পারিত না
৩৪
সাধারণ ভাবভূমি হইতে ঠাকুর যাহা দেখিয়াছিলেন — শাক্ত ও বৈষ্ণবের বিদ্বেষ
৩৫
নিজ পরিবারবর্গের ভিতর ঐ বিদ্বেষ দূর করিবার জন্য সকলকে শক্তিমন্ত্রে
দীক্ষাগ্রহণ করান
৩৬
সাধুদের ঔষধ দেওয়ার প্রথার উৎপত্তি ও ক্রমে উহাতে সাধুদের আধ্যাত্মিক
অবনতি
৩৭
কেবলমাত্র ভেকধারী সাধুদের সম্বন্ধে ঠাকুরের মত
৩৮
যথার্থ সাধুদের জীবন হইতেই শাস্ত্রসকল সজীব থাকে
৩৯
যথার্থ সাধুদের ভিতরেও একদেশী ভাব দেখা
৪০
তীর্থে ধর্মহীনতার পরিচয় পাওয়া। আমাদের দেখা-শুনায় ও ঠাকুরের দেখা-শুনায়
কত প্রভেদ
৪১
ঠাকুরের নিজ উদার মতের অনুভব
৪২
'সর্ব ধর্ম সত্য — যত মত, তত পথ', একথা জগতে তিনিই যে প্রথমে অনুভব
করিয়াছেন, ইহা ঠাকুরের ধরিতে পারা
৪৩
জগৎকে ধর্মদান করিতে হইবে বলিয়াই জগদম্বা তাঁহাকে অদ্ভুতশক্তিসম্পন্ন
করিয়াছেন, ঠাকুরের ইহা অনুভব করা
৪৪
আমাদের ন্যায় অহঙ্কারের বশবর্তী হইয়া ঠাকুর আচার্যপদবী গ্রহণ করেন নাই
৪৫
ঠাকুরের অনুভব: "সরকারী লোক — আমাকে জগদম্বার জমিদারির যেখানে যখনই গোলমাল
হইবে সেখানেই তখন গোল থামাইতে ছুটিতে হইবে"
৪৬
নিজ ভক্তগণকে দেখিবার জন্য ঠাকুরের প্রাণ ব্যাকুল হওয়া
৪৭
ঠাকুরের ধারণা — 'যার শেষ জন্ম সেই এখানে আসবে; যে ঈশ্বরকে একবারও ঠিক ঠিক
ডেকেছে, তাকে এখানে আসতে হবেই হবে'
৪৮
জগদম্বার প্রতি একান্ত নির্ভরেই ঠাকুরের ঐরূপ ধারণা আসিয়া উপস্থিত হয়
৪৯
ঠাকুরের ঐ কথার অর্থ
৫০
গুরুভাবের ঘনীভূতাবস্থাকেই তন্ত্র দিব্যভাব বলিয়াছে। দিব্যভাবে উপনীত
গুরুগণ শিষ্যকে কিরূপে দীক্ষা দিয়া থাকেন
৫১
শ্রীগুরুর দর্শন, স্পর্শন ও সম্ভাষণমাত্রেই শিষ্যের জ্ঞানের উদয় হওয়াকে
শাম্ভবী দীক্ষা বলে; এবং গুরুর শক্তি শিষ্য-শরীরে প্রবিষ্ট হইয়া তাহার
ভিতর জ্ঞানের উদয় করিয়া দেওয়াকেই শাক্তী দীক্ষা কহে
৫২
ঐরূপ দীক্ষায় কালাকাল-বিচারের আবশ্যকতা নাই
৫৩
দিব্যভাবাপন্ন গুরুগণের মধ্যে ঠাকুর সর্বশ্রেষ্ঠ — উহার কারণ
৫৪
অবতারমহাপুরুষগণের ভিতরে সকল সময় সকল শক্তি প্রকাশিত থাকে না। ঐ বিষয়ে
প্রমাণ
৫৫
ঠাকুরের ভক্তপ্রবর কেশবচন্দ্রের সহিত মিলন এবং উহার পরেই তাঁহার নিজ
ভক্তগণের আগমন
পঞ্চম খণ্ড — ঠাকুরের দিব্যভাব ও
নরেন্দ্রনাথ